আচ্চা তোমার

আচ্ছা তোমার চোখের নিচে কালো দাগটা কিসের? রিমিকে বিয়ের জন্য দেখতে আসা ছেলের মুখে এই কথাটা শুনে সে একটু অস্বস্তিতে পড়লো। কারন চেনা নেই জানা নেই একটা মানুষ হঠাৎ তাকে এরকম প্রশ্ন করছে,বিষয়টা কেমন অদ্ভুত লাগলো। এর আগেও রিমির বিয়ের জন্য বাবা মা অনেক চেষ্টা করেছে। মধ্যবিত্ত পরিবার,তার উপর ৩টা মেয়েকে বিয়ে দেয়া খুব একটা ঝামেলার মধ্য দিয়েই যাচ্ছিলো রিমির বাবা। রিমি পরিবারের বড় মেয়ে, তার আরো দুই বোন ছিলো যারা অধিক সুন্দরী হওয়ায় রিমিকে দেখতে এসে পাত্রপক্ষ তাদের পছন্দ করে যেতো এমনকি বিয়েও হয়েছে খুব ভালো পরিবারে। যাইহোক ৫ম বারের মতো আবারো রিমিকে কেও একজন দেখতে আসলো। ছেলের নাম নাইম,একজন কোরআনের হাফেজ ছিলেন❤️। ছেলেটাকে দেখতে বেশ সুদর্শন, লম্বা শরীর, ধবধবে ফর্সা, কাধ বেশ চওড়া, গালভর্তি দাড়ি,দেখলেই মন জুড়িয়ে যায়। আবার উচ্চ বংশীয়,ওই দুই বোনের জামাইরা কিছুইনা এর কাছে। তবে সবাই এতোকিছু দেখে নিশ্চিত ছিলো যে এই বিয়েটাও হবে না। কারন কোথায় তারা আর কোথায় এই মধ্যবিত্ত ঘরের জীর্ণ শীর্ণ রিমি।পরিবারের দায়িত্ব সারাদিন কাধে নিয়ে কাধ গেছে চেপে,অন্যদের খাবার জোগাতে গিয়ে নিজের খাবারের ভাগটা ভুলেই গেছে প্রায়,শরীরের রং ক্রমশ চেপে এসেছে। শহরে ছোট একটা চাকরি করে বাবার সাথে পরিবারের হাল ধরে নরম হাতটা শক্ত হয়ে এসেছে, সারারাত এসব চিন্তা করে চোখের নিচে যে কালো দাগ পড়েছে সে কথায় বা কিভাবে বলবে এদের?🥺Prrbook Upworkmarket postmaster topguru monstarpublic usamarking powerbank cutly Redifiv bookstar link Youtubbook tumblrro Postmind Probook SocialMarking Prrmarsub Hastagcode Wortweb wwwsmbook quora-answer curred-add wordpress-wo classifiedsa Top-Backlinks Aliexpress Twin-M F-s-a-m-f Gabsocialm Temp Mail এর আগে কেও শুনতে চায়নি রিমির জীবনের এই করুন কাহিনি। সবাই এসেছে আর দেখেই কয়েক গন্ডা খেয়ে চলে গেছে। তবে এবার সবকিছুই একটু অন্য রকম হলো। রিমির মায়াভরা মুখ নাঈমকে মুগ্ধ করে তোলে,সে চাইলেও ওই মুখকে ভুলতে পারেনা। রিমির মুখে প্রশ্নের কোনো জবাব না পেয়ে সে নিজেই বুঝে গিয়েছিলো যে এই মেয়েই তার জন্য পৃথিবীতে এসেছে। হোক না একটু কালো,হোক না একটু খাটো,কয়দিন ই বা থাকবো পৃথিবীতে? কিন্তু রিমির এই মায়াভরা মুখ দেখে যদি আখিরাতে অনন্তকাল থাকা যায় তবে ক্ষতি কি? এরকম নানা ভাবনায় রাত ৮টার দিকে রিমিকে কল দিয়ে নাঈম তার চোখের কাজলের প্রশংসা শুরু করলো। রিমি কিছু না বলে অবাক হয়ে শুনছে শুধু। এভাবে কেও আগে বলেনি,রিমির চোখে আচমকা জল চলে এলো। নাঈম সেটা বুঝতে পেরে রিমির বাসার সামনে ওই রাতেই চলে যায়,তারপর রিমির বাবার সাথে কথা বলে সেই রাতেই তাদের বিয়ে হলো। সব রিমির জীবনেই কোনো নাঈম আছে,চাই শুধু অপেক্ষা 😇

Comments

Popular posts from this blog

golden retriever puppy for sale near me